শুক্রবার , ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

মেঘনা আলমকে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়ার কারণ জানালো ডিএমপি

প্রতিবেদক
admin
এপ্রিল ১১, ২০২৫ ১২:৪২ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে মেঘনা আলম অভিযোগ করেন। পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। লাইভটি প্রায় ১২ মিনিট চলার পর বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে সেটি ডিলিটও হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মডেল মেঘনার বাসা থেকে গতকাল রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। আইন সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, মডেল মেঘনাকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয়েছে। সে আইন অনুযায়ী  আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন। আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।

আরও জানা যায়, এই আইনে অনুযায়ী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করার কাজে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়।

জানা যায়, জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করার কাজে যুক্তকে এই আইনে আটকে রাখা যায়। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মেঘনা আলম ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার এবং নারীদের স্বাবলম্বী করতে নারী উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেন তিনি। -ডেস্ক রিপোর্ট