(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) জুলাই-আগস্ট আন্দোলন, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে গণহত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশ করছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানা কারণ দেখাচ্ছে। তারা শোনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে। এই তথাকথিত বিভিন্ন মহলকে বলতে চাই- যখন শাপলা চত্বরে হত্যা হলো, বিডিআর বিদ্রোহ হলো, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা হলো, তখন বহির্বিশ্ব কোথায় ছিল? যখন হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হলো- তখন ওই পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল? ভারতের প্রেসক্রিপশনে বিডিআর ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্য কিছু প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই জেনারেশনকে ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোনো ধরনের খেলা খেলার চেষ্টা করেন- তাহলে সব ক্ষমতার ওপরে গিয়ে টেনেহিঁচড়ে নামাতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাভারের আশুলিয়ায় শহিদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম সমাবেশে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ওরা পুড়িয়ে মারল। আমি ওদের বিচার চাই। ওদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম হান্নান বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ যেন আর রাজনীতি করতে না পারে।
শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে শহিদ আল আমিনের ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুধু বুঝি অপরাধীদের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না।
সামবেশে ৪ দফা দাবি তুলে ধরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে প্রথমে নির্বাহী আদেশে, তারপরে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। শাপলা গণহত্যা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত শহিদদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। অবিলম্বে এই গণহত্যার বিচার শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, এসব দাবিতে আগামী ১০০ দিন ৬৪ জেলায় গণসংযোগ করবে ইনকিলাব মঞ্চ। -নিউজ ডেস্ক