(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ‘যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ে গিয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান’! দু’পক্ষের ‘বাস্তবজ্ঞান’কে স্বাগত জানিয়ে দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর পরেই ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন।
এই বিষয়ে (যুদ্ধবিরতি) মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. ইসহাক দারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন, দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন। মার্কো রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিকের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলাপ করেছেন।
রুবিও বলেন, ‘আমরা দুই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফের দূরদর্শিতা ও শান্তিপূর্ণ পথে এগোনোর সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই’।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কোনো দেশই এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ট্রাম্প ও রুবিওর বক্তব্যে সংকেত মিলছে যে, গত ৪৮ ঘণ্টায় কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতির পেছনে মার্কিন প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা সুস্পষ্ট। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের হস্তক্ষেপ। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—এই যুদ্ধবিরতি কি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির দ্বার উন্মোচন করতে পারে? -ডেস্ক রিপোর্ট