(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘শক্তি’, যা শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত।
ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভারতের উড়িষ্যা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো উপকূলে এটি আছড়ে পড়তে পারে। সম্ভাব্য আঘাতের সময় ২৭ থেকে ২৯ মে’র মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে— ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল না হলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোস্তফা কামাল পলাশ মনে করেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে। এই সার্কুলেশন ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জাগরণ’ জানিয়েছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এখনো ঘূর্ণিঝড়টি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা বলছে—এটি আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সময়মতো নির্দেশনা দেবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকে বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ঝড়ের আচরণ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকূলীয় বাসিন্দাদের এখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি। তাদের পরামর্শ, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
এর আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল। আঘাতের আগে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং উপকূলীয় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।
চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশের অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে, সেই সঙ্গে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জনমনে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে। -ডেস্ক রিপোর্ট