বুধবার , ২৫ জুন ২০২৫ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

বিরামপুরে সাবেক স্ত্রীর দাপটে যুবক বাড়ি ছাড়া!

প্রতিবেদক
admin
জুন ২৫, ২০২৫ ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

মো. নজরুল ইসলাম (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বিরামপুর উপজেলার ভেলারপাড়াগ্রামে এক যুবকের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী জোর পূর্বক যুবকের বাড়িঘর দখলে নিয়ে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। অসহায় যুবক বিচারের আশায় ধর্ণা দিলেও বাড়ি উদ্ধার বা তাকে সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসছেনা।

বিরামপুর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ভেলারপাড়া গ্রামের মৃত: সিদ্দিক আলীর ছেলে মোঃ মনোয়ার হোসেন ২০১০ সালের ২৯ জুলাই একই উপজেলার যোতমাধব (বেড়াখাই) গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে মোছাঃ শবনম মোস্তারী রত্নাকে রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে করেন। শান্তিপূর্ণ সংসার করা কালীন তাদের ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মনোয়ার হোসেন এলাকার বাহিরে চাকুরী করাকালীন জমি কেনার জন্য স্ত্রীকে টাকা দিলে স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্না সেই টাকা দিয়ে সুকৌশলে নিজের নামে ৬৯ শতক জমি কিনেছেন এবং মনোয়ারের একটি এনজিও থেকে স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্না ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে এবং সংসার ঠিক রাখার স্বার্থে মনোয়ার নমনীয় মানসিকতা প্রকাশ করলেও স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্না স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। আর তখন থেকেই শুরু হয় সংসারে অশান্তি। বিষয়টি নিয়ে অনেক দেন দরবারের পর গত ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর মনোয়ার হোসেন স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্নাকে আইনগত ভাবে তালাক প্রদান করেন। তালাকের ৭ মাস পর মনোয়ার হোসেন ২য় বিয়ে করেন। ২য় স্ত্রীকে নিয়ে মনোয়ার তার নিজ বাড়িতে উঠতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। মনোয়ার হোসেন দেখেন, তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্না তার বাড়ি দখলে নিয়েছে এবং বাড়িতে উঠতে বাধা প্রদান করছে। গ্রাম্য দেন দরবারে শবনম মোস্তারী রত্না তার সাবেক স্বামীর বাড়ি না ছাড়ায় মনোয়ার হোসেন বাধ্য হয়ে চলতি ২০২৫ সালের ৬ জুন বিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত শবনম মোস্তারী রত্না জানান, স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে এই খবর তিনি জানেন না। একারণে তিনি স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। তালাক রেজিষ্টারকারী কাজী নূর মোহাম্মদ জানান, শবনম মোস্তারী রত্না ও তার মা স্বশরীরে এসে আমার নিকট থেকে তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছেন।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই  জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শবনম মোস্তারী রত্নাকে আহবান জানানো হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। একারণে মনোয়ার হোসেনকে আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - আর্ন্তজাতিক