বৃহস্পতিবার , ৩ জুলাই ২০২৫ | ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

এহসান মাহমুদ ইস্যুতে ‘বিব্রত’ বিএনপি!

প্রতিবেদক
admin
জুলাই ৩, ২০২৫ ৩:২৬ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বাম-আওয়ামী ঘরানার আদর্শে অনুপ্রাণিত এহসান মাহমুদ নামের একজনকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে বিএনপিতে। দলের ভেতরে-বাইরে এই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দলটির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তাকে দলটির নেতারা নামিয়ে নিতে বাধ্য হন, যখন উপস্থিত সারি থেকে এহসানকে কেন্দ্র করে ‘ফ্যাসিস্ট’, ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দ উচ্চারিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এহসান মাহমুদের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ ঘটে ২০২৩ কিংবা ২২ সালের দিকে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিরোধী একটি বলয়ের হাত ধরে তার দলটিতে অনুপ্রবেশ ঘটে। তারেক রহমানকে নিয়ে আর্টিকেল লেখায় একটি পত্রিকা থেকে তিনি চাকরি হারিয়েছেন, এটি ছিল বিএনপির সঙ্গে এহসান মাহমুদের মেলবন্ধনের একটি উপলক্ষ। বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর তার অতীত ভূমিকা পেছনে পরে যায়। রাতারাতি কয়েকটি কমিটিতেও তার জায়গাও হয়। যা নিয়ে দলের ভেতর থেকে আপত্তিও তোলা হয়েছিল।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এহসান মাহমুদের বেশ কিছু ছবি এবং ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, এহসান মাহমুদের সাথে আওয়ামী-বাম ঘরানার লোকজনের সাথে তার ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অন্তত এটি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, বিএনপি বিরোধী আদর্শের প্লাটফর্ম থেকে এসেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি আয়োজনে যোগাযোগ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিনের সঙ্গে সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন এহসান মাহমুদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য নিয়ে জানতে চাইলে মাহদী আমিন সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি খুবই বিব্রতকর।

ছবি ও ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এহসান মাহমুদ শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা বইয়ের সম্পাদনা থেকে শুরু করে পতিত আওয়ামী লীগের আমলে ১৪ দলীয় জোটের বাম ঘরানার নেতাদের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় ওঠাবসা। বিশেষ করে বিএনপিকে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ হিসেবে তুলে ধরার প্রচারক সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে অনেককে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বন্দনা করে একাধিক কলাম লেখা, প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের গুণগান করতেন এহসান। ২০২১ সাল পর্যন্ত ফেসবুকে তার কয়েকটি পোস্টের আংশিক ছিল এরকম : এক. প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) একজন বাঙালি মায়ের চিরায়ত রূপ। দুই. খালেদা জিয়া তার দলের দুইজন নেতাকে পাঠিয়েছেন ড. ইউনূসের কাছে……তারা ইউনুসের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন বিএনপি আপনার সঙ্গে আছে। বিএনপি যে ইউনুসের পাশে আগেও ছিল তা কি এতদিন ইউনুস সাহেব জানতেন না? এখন কেন ফটোসেশন? সেটা কি ওনারা যাদের বোকা জনগণ মনে করেন, তাদের দেখানোর জন্য। তিন. হাসিনা, খালেদা, এরশাদ-এরা আলোচনার যোগ্য নয় এদেশের জন্য। ১০০ বছর পরে এদের কথা কেউ মনে রাখবে না। চার. শেখ হাসিনা সরকারের একটি প্রশংসনীয় কাজ-প্রধানমন্ত্রীর দহগ্রাম সফর। জয়তু হাসিনা। পাঁচ. পবিত্র কেতাবের সুরা ‘লাহাবের’ শেষ বাক্যটি আজকাল যখন-তখন মনে ভেসে আসে…….আমার মনে যখন-তখন ভেসে আসে কে কুৎসাকারিনী হাসিনা না খালেদা? ছয়. মুজিবের জন্ম না হলে, বাংলাদেশের জন্ম হতো না।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের দিকে এহসান মাহমুদ গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের আমলের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এহসান আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উইংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং বহুদিন আওয়ামী লীগের পারপাস সার্ভ করেছেন। ইনুর হাত ধরে ২০১৬ সালে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে এহসান মাহমুদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। ঘনিষ্ঠজনরাও বলতে পারছেন না কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজে তিনি লেখাপড়া করেছেন। তবে একটি সূত্র বলছে, তিনি এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন।

জানা গেছে, এহসান মাহমুদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনিতে। জামায়াত ঘরানার পরিবারে বেড়ে ওঠা এহসানের সখ্যতা অবশ্য  আওয়ামী লীগ ও বাম ঘরানার মানুষের সঙ্গে। তার চাচা স্থানীয় জামায়াতের নেতা। ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত এহসান মাহমুদের স্ত্রী এলাকায় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাদারীপুরে থাকলেও পরিবারের বিষয়ে পুরোপুরি উদাসীন এহসান মাহমুদ। এ নিয়ে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তার স্ত্রী অভিযোগ করলেও এসব থোরাই কেয়ার করেন তিনি।

অন্যদিকে, স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এহসান মাহমুদের অবৈধ সম্পর্কের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে ঢাবির একজন ছাত্রদল নেত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে অভিযোগও এসেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপিতে যেভাবে ঢুকলেন এহসান মাহমুদ

জানা গেছে, বিএনপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক এগারোর সময় মাইনাস করার প্রক্রিয়ায় জড়িতদের হাত ধরে ২০২৩ সালে মূলত বিএনপিতে আসা এহসান মাহমুদের। ২০২৩ নয়াপল্টনে একটি সমাবেশে দীর্ঘদিন পর ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশের শেষ দিকে এসে বিএনপি মহাসচিব চমক আছে এমন কথা বলার পর পর্দায় আসেন তারেক রহমান। তখন উল্লাসে ফেটে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেই সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের উৎফুল্লতার কথা তুলে ধরে তখনকার কর্মস্থল একটি দৈনিকে মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন এহসান মাহমুদ। কথিত আছে এহসান মাহমুদ এরপর ওই পত্রিকা থেকে চাকরি হারান।

ehsan3

জানা গেছে, ওই পত্রিকার চাকরি হারানোর পর বিএনপির কারো কারো সুপারিশে আরেকটি দৈনিক চাকরি পান এহসান মাহমুদ। কিন্তু সেখানেও নানা অপেশাদার আচরণের জন্য চাকরিচ্যুত হন তিনি।

এহসান মাহমুদ তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে নিজেকে বিএনপির বুদ্ধিভিত্তিক কাজে সহযোগিতা করেন বলে দাবি করে আসছেন।সবশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের পাশাপাশি বিএনপির হয়ে কাজ করেছেন এমনটা দাবি করছেন এহসান মাহমুদ।

অবশ্য কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তাকে রাজপথে দেখা গেছে। জুলাই আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের সঙ্গেও তাকে দেখা গেছে।

এদিকে সম্প্রতি এহসান আওয়ামী লীগ ও বামদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি সামনের আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোদ বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সাংবাদিকদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মঙ্গলবার রাতে বিবৃতিও দিয়েছেন। হঠাৎ করে এমন বিবৃতি দেয়ারও সমালোচনা করছেন নেতাকর্মীরা।

ঢাকা মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা  বলেন, ‘দীর্ঘসময় নানামুখী চাপ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করার সময় অসংখ্য সাংবাদিকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। কিন্তু এহসান মাহমুদ নামে যাকে নিয়ে খুব আলোচনা তাকে কখনো দেখিনি আমরা।হঠাৎ কিভাবে দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন তা নিয়ে আমাদেরও প্রশ্ন আছে।’ -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ইসরায়েলি সেনাদের হামলা, নিহত ৭৫

পাঁচবিবিতে মহিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল

মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা জঙ্গি নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি : ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বজ্রপাত ও ঝড়ে একদিনে প্রাণ গেল ১৪ জনের

‘গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা’ এসআইয়ের দ্বিতীয় বিয়ে, প্রথম স্ত্রীকে হত্যার হুমকি

দল নয়, দেশ ও জাতির স্বার্থে সংস্কার চায় জামায়াত

চেয়ারে শহীদদের মা-বাবা, মেঝেতে ৫ উপদেষ্টা!

তিন ক্যাটাগরিতে আরও ১৭৫৭ জুলাইযোদ্ধার গেজেট প্রকাশ