রবিবার , ৩ আগস্ট ২০২৫ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে আসছে বড় পরিবর্তন

প্রতিবেদক
admin
আগস্ট ৩, ২০২৫ ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ

  • ভোটের দিনই যুক্ত হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট
  • প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দেওয়া হতে পারে পরিচয়পত্র
  • জামানত হিসেবে রাখা হচ্ছে না নগদ টাকার অপশন
  • যুক্ত হচ্ছে প্রবাসীদের পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের বিধান

মো. মেহেদী হাসান হাসিব (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে সারছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল। নির্বাচনের বিধি-বিধানসংক্রান্ত এই ম্যানুয়েলে এবার বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। জামানত হিসেবে নগদ টাকা জমার অপশন বাদ দেওয়া, প্রবাসীদের ভোটদানে পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের বিধান যুক্তসহ একগুচ্ছ বিধান সংশোধন ও সংযোজনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

ইসি সূত্র জানায়, সাধারণত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল তৈরি করা হয়। যেখানে নির্বাচনসংক্রান্ত সব আইনবিধি ও নিয়মকানুন উল্লেখ থাকে। তবে এবার যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের পর সম্পূর্ণ নতুন প্রেক্ষাপটে একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে, এজন্য পরিবর্তনটা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ম্যানুয়েলে নতুন করে যেসব বিধান যুক্ত হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে ভোটগ্রহণের নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পোস্টাল ব্যালট এলে তা গ্রহণ করা হবে না। প্রবাসীদের ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচনের দিনই কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঙ্গে পোস্টাল ব্যালটের ভোট যুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বাদ দেওয়া ব‍্যালট পেপারগুলোর পরীক্ষার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেটি বাস্তবসম্মত নয়। তাই আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে তা তুলে দেওয়াসহ ছোট-খাটো অনেক সংশোধন করে নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল তৈরি করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল হালনাগাদ কমিটির সভাপতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত সভায় বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-তে ‘প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল’ নামের কোনো বিধান রয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখা উচিত। নির্বাচনে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যারের কার্যপদ্ধতি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়ে সন্নিবেশ করা উচিত। এতে করে প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনায় আরও স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।

এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরিচয়পত্র সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা রাখলে নির্বাচন পরিচালনায় শৃঙ্খলা ও সমন্বয় আরও জোরদার হবে।

নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. আতিয়ার রহমান জানান, অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেমে (ওএনএসএস) কোনো পরিবর্তন থাকলে তা সচিবালয়ের আইসিটি অনুবিভাগ থেকে যাচাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত করে ম্যানুয়েলে যুক্ত করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি গণনা করতে পারবেন এবং ভোটের দিনই তা কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল শিটে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা রাখার বিধান যুক্ত করতে হবে।

ইসির উপসচিব মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগে পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের বিধান নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে যুক্ত করা, পোস্টাল ব্যালট নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পর তা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গণনা করে বৈধ ভোটে যোগ করার সুনির্দিষ্ট বিধান থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।

এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে মনোনয়ন দাখিলকারীদের তালিকা তৈরির জন্য নির্ধারিত কোনো ফরম নেই। সেটি যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীর একটি নমুনা তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছি। এছাড়া জামানতের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ জমার অপশন বাদ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছি।

উপসচিব মুনীর হোসাইন খান আরও বলেন, নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ করলে তাদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলার বিধান আরপিও’র ৪৪খখ অনুচ্ছেদে রয়েছে। তবে বিগত নির্বাচনে প্রার্থীর নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হলে নতুন করে আবার একটি হিসাব খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না সে বিষয়টি এবার ম্যানুয়েলে স্পষ্টভাবে থাকতে পারে।

এদিকে গত ২৪ জুলাই এ সংক্রান্ত কমিটির আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, বিদ্যমান ম্যানুয়েলে কেবল বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি দিয়ে চিহ্ন দেওয়ার বিধান উল্লেখ করা আছে। নতুন ম্যানুয়েলে ভোটারের যেকোনো হাতের আঙুলে অমোচনীয় কালির চিহ্ন দেওয়ার সুযোগ রাখা উচিত।

এই কর্মকর্তা বলেন, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভেতরে পোলিং এজেন্ট ও ভোটার কেউই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না, এটি ম্যানুয়েলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ সংক্রান্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিদ্যমান নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে অনেক করণীক ত্রুটি রয়েছে, যা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন করে কিছু বিধান যুক্ত করা হবে যাতে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা ম্যানুয়েল তৈরি করা যায়।’

ওই সদস্য বলেন, ‘আমরা কিছু প্রস্তাব করেছি যেমন-পোলিং এজেন্ট নিয়োগের জন্য একটি ফরম নির্ধারণ করে তা নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েলে অন্তর্ভুক্তি; ঘুষ গ্রহণের শাস্তি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত; নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ করলে তাদের নামে অবশ্যই ব্যাংক হিসাব খোলার বিধান বাস্তবায়ন এবং তা রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করার বিষয় থাকবে। এছাড়া প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রত্যয়ন দেওয়ার জন্য একটি নমুনা ম্যানুয়েলে যুক্ত করাসহ অনেক ছোট-খাটো বিষয় এবার যুক্ত হচ্ছে।’ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা যারা এটি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছি আমিসহ সবার কাজ প্রায় শেষ। ৩ আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তাব আন-অফিশিয়াল নোটের (ইউও নোট) মাধ্যমে ক্রয় ও মুদ্রণ শাখায় পাঠাতে হবে। এরপর খসড়া নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল এলে আবার সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করার জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।’ -ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত