(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) সারি সারি সবুজ গাছ, গাছে থরে থরে সাজানো বড় বড় সবুজ পেঁপে। রোদের আলোয় ফলগুলো চকচক করছে। আর হালকা বাতাসে দুলছে গাছের পাতা। যেন সবুজে মোড়া এক স্বপ্নের বাগান। এ দৃশ্য এখন বিরল উপজেলার রবিপুর গ্রামের কৃষক বদরুজ্জামানের পেঁপে বাগানে।
তিন মাস আগে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় ২০ শতাংশ জমিতে লাগিয়েছিলেন আধুনিক জাতের ‘টপলেডি’ পেঁপে। মাত্র কয়েক মাসেই গাছগুলো ৩-৪ ফুট উঁচু হয়ে গেছে। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত কাঁচা পেঁপেতে ভরে গেছে গাছ। ফলনের দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন বদরুজ্জামান নিজেও। সাফল্যের সম্ভাবনা দেখে তিনি আরও ৭০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ শুরু করেছেন।
কৃষক বদরুজ্জামান বলেন, এবার প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে পেঁপে চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে প্রথম বছরেই ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে বাগান থেকে পাইকাররা কেজিপ্রতি ২০ টাকা দরে পেঁপে কিনে নিচ্ছে। অন্য ফসলের তুলনায় পেঁপে চাষে খরচও তুলনামূলক কম। এলাকার অনেক কৃষক আমার বাগান দেখতে আসেন। আমি তাদের পরামর্শ দিই। এবারের মৌসুমে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে পেঁপের বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পেঁপের গাছ এখন শুধু বদরুজ্জামানের নয়, পুরো এলাকার কৃষকদের কাছেই সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি হিসেবে পেঁপের চাহিদা সবসময়ই থাকে। আর সার ও কীটনাশকের খরচও তুলনামূলক কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, কৃষকদের আমরা একটি প্রকল্পের আওতায় পেঁপে চাষে কারিগরি ও সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি। এতে তারা ধীরে ধীরে এই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং নিরাপদ উপায়ে সবজি উৎপাদন করছেন।