শনিবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

দিনাজপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা কর্মশালা শুরু

প্রতিবেদক
admin
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫ ৩:০৮ অপরাহ্ণ

আব্দুস সালাম, হেড অব নিউজ (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দেশের গম ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডাব্লিউএমআরই) দিনাপুরের আয়োজনে ছয় দিনব্যাপী ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০২৫’ শুরু হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার, ইনস্টিটিউটের সেমিনার রুমে এই কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডাব্লিউএমআরই-এর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মো. আব্দুল হাকিম, পরিচালক (পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর) ড. মো. মাহফুজ বাজ্জাজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডাব্লিউএমআরই-এর মহাপরিচালক ড. সলাহ্উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিডাব্লিউএমআরই-এর প্রধান ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিজ্ঞানী, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি ও বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি, কৃষক প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডাব্লিউএমআরই-এর পরিচালক ড. মো. মাহফুজ বাজ্জাজ। তিনি গম ও ভুট্টা গবেষণার বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চফলনশীল ও জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত গমের ৩৮টি এবং হাইব্রিড ভুট্টার ২০টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গত ২০২৪ সালে উদ্ভাবিত ব্লাস্ট প্রতিরোধী বিডাব্লিউএমআরই গম ৫।
এছাড়া, ২০২২ সালে উদ্ভাবিত বিডাব্লিউএমআরই হাইব্রিড ভুট্টা ২ প্রচলিত যেকোনো বাণিজ্যিক জাতের সমান ফলন দিতে সক্ষম। খুব শিগগিরই বিডাব্লিউএমআরই হাইব্রিড ভুট্টা ৩ নামে আরেকটি নতুন জাত অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ইনস্টিটিউটটি গমের ব্লাস্ট রোগ এবং ভুট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম ও ফিউজারিয়াম স্টকরট রোগের সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন শস্য ব্যবস্থাপনার লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে গম ও ভুট্টার প্রজনন বীজ সরবরাহ করে থাকে।
১৪-১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন কারিগরি সেশনে গত এক বছরের গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে গম ও ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

সর্বশেষ - আর্ন্তজাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত