(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে চিরতরে ঢাকা ছেড়ে বিদায় নেন তিনি। ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সে অনুযায়ী দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে গায়িকার পরিবার ও স্বজনরা। আজ রোববার দুপুর থেকে কবরস্থানে কবর খোঁড়া কাজ চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন গোর খোদকরা। তারা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবদুর রাজ্জাক নামে ফরিদা পারভীনের এক আত্মীয় কবর খোড়ার জন্য বলেছেন। সেজন্য গোরস্থানে শিল্পীর বাবা-মায়ের কবরে দাফনের জন্য খোঁড়া হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে মরদেহ পৌঁছার পর দাফন হতে পারে।’
পৌর গোরস্থানের খাদেম নূর ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে এই গোরস্থানে খাদেমের দায়িত্বে আছি। ফরিদা পারভীনের পরিবারের সাথে আমার ভালো সখ্যতা। ফরিদার বাবা দেলোয়ার হোসেন ১৯৯৬ সালে মারা যান। তাঁকে এই গোরস্থানে দাফনের জন্য কবর খুঁড়েছিলাম। এরপর তার মা রৌফা বেগম মারা যান। তাঁকেও একই কবরে দাফন করেছিলাম। আজ ফরিদার লাশ আসছে। তাঁকেও একই কবরে শায়িত করা হবে। এজন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
বলে রাখা ভালো, দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। গত ২ সেপ্টেম্বর নিজ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গায়িকার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকলে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। -ডেস্ক রিপোর্ট