রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

বিএনপি-জামায়াতের দূরত্ব কমাতে ৯ দলের উদ্যোগ, নতুন জোটের গুঞ্জন!

প্রতিবেদক
admin
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নতুন করে মেরুকরণ শুরু হয়েছে। একদিকে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব, অন্যদিকে নির্বাচনী পদ্ধতি ও ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে চলমান বিভাজন নিরসন এবং একটি নতুন নির্বাচনী জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ৯টি রাজনৈতিক দল।

সম্প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দল, এবি পার্টি, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক বৈঠকে বসে। বৈঠকে মূলত বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সমন্বয় তৈরির পাশাপাশি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা হয়। এই ৯টি দলের নেতারা বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উদ্দেশ্য একটাই—আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিভক্ত নয়, বরং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

নেতারা বলছেন, বড় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব থাকলে রাজনৈতিক মাঠে ‘তৃতীয় পক্ষ’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বিষয়টি ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এই বিষয়ে বলেন, সংকট একটা তৈরি হয়ে গেছে। এই সংকট দূর করা না গেলে তৃতীয় পক্ষ তো আসবেই। সবাইকেই তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কেউ যদি বলে, কিছু ছাড় দেওয়া হবে না, তাহলে তো হতে পারে না।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ের মূল ইস্যু হয়ে উঠেছে ‘জুলাই সনদ’। ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় বৈঠকেও সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো একমত হয়নি দলগুলো। সাংবিধানিক আদেশের পর গণভোটের মাধ্যমে সনদের বৈধতা দেওয়ার একটি প্রস্তাব সামনে এলেও তা নিয়েও ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। এদিকে একই সময়ে জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামি দল দুই কক্ষে প্রো-পোরশানাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

এই প্রেক্ষাপটে, ৯টি দলের সমন্বিত উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, দুইটা পদ্ধতিই অনুসরণ করা যায় কি-না, সেটা দেখছি। আশা করছি, পরবর্তী ঐকমত্য কমিশনের বৈঠনের আগে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।

নতুন জোট গঠন নিয়েও আলোচনা চলছে। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, বিএনপি কেন্দ্রিক এক ধরনের বলয় আছে। জামায়াত ও ইসলামি দলগুলোও এক ধরনের বলয় তৈরি করেছে। আমরা মনে করছি, মধ্যমপন্থী, গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশপন্থী দলগুলোর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়ানো দরকার। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলছি এবং সংস্কার প্রশ্নে এক জায়গায় আসার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, একসঙ্গে একীভূত হবে কি-না, নাকি জোট হবে, নাকি অ্যালায়েন্স—সেটা আমরা আরও কিছু দিন গেলে বুঝতে পারবো।

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান জানান, বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি এগিয়ে নিতে কয়েকজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আলোচনা করেছি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দূরত্ব কীভাবে কমিয়ে একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারি, সেই চেষ্টা করছি। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই জোটবদ্ধভাবে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা এককভাবে জোট করবো, নাকি অন্যদের সঙ্গে মিলেই করবো, এই সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত