শনিবার , ১ নভেম্বর ২০২৫ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

পুলিশের ওপর একের পর এক হামলা, মাঠ পর্যায়ে কঠোর নির্দেশনা

প্রতিবেদক
admin
নভেম্বর ১, ২০২৫ ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে হামলার শিকার হচ্ছেন। গত ৯ মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৬২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা পুলিশের মনোবল ও কার্যক্রমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় যেকোনো হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কঠোর বার্তা দিয়েছে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে পুলিশের ওপর হামলা, অপদস্তকরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। কখনো পরিকল্পিত সন্ত্রাস, কখনো আকস্মিক ভাঙচুর উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশের সদস্যরা আঘাতপ্রাপ্ত হন। কিছু ঘটনার মধ্যে রয়েছে আসামি ছিনতাই, শর্টগান ও ওয়াকিটকি উদ্ধার, এবং অভিযানের সময় মব তৈরি করে পুলিশকে ধাওয়া করা।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, প্রত্যেক ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

পুলিশ সদর দফতর জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই ৯ মাসে পুলিশের ওপর ৪৬২টি হামলার ঘটনা ঘটে। তবে বেশিরভাগ ঘটনায় মামলা হচ্ছে না। অনেক সদস্য মানসম্মান ও সেই এলাকায় কাজ করতে হবে ভেবে মামলায় যাচ্ছেন না।

এমন হামলাকে পরিকল্পিত ও মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ মাসে ১১টিরও বেশি আসামি ছিনতাই চেষ্টার সময় পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের সদস্যরা হামলার শিকার হয়ে আহত হন। এমন হামলায় অসহায়ত্বের কথা জানান কেউ কেউ। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ হয়ে গেছে এখন বানরের মতো। রিকশাওয়ালার মার খায় পুলিশ। বানরের খাঁচায় বন্দি করে নাচাচ্ছে আমাদের। আমি অন্য চাকরির চিন্তা করছি।’

পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া তো অবশ্যই অপরাধ। শুধু অপরাধ নয়, এটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। সম্প্রতি যতগুলো ঘটনা ঘটেছে প্রত্যেকটি ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’

কিছু উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনা

গত ৫ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানা-পুলিশ চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের আরাজি পাইকডাঙ্গা বাবুরহাট বাজারের উত্তর এলাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ ইয়াবাসহ হাফিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সমেলা বেগমকে গ্রেফতার করে। পরে নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড ও গাছের ডাল দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে এবং তাকে ছিনিয়ে নেয়।

১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের কর্মী ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সাফায়েত গাজী নামে এক ব্যক্তি দলের লিফলেট বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাফায়েতকে আটক করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সাফায়েতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচ পুলিশের সদস্যসহ আটজন আহত হন।

Police_
গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর একটি দৃশ্য।

২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা করেন তার সমর্থকরা। হামলায় সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

২৫ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাধা গ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর হামলা চালিয়ে মাদক মামলায় গ্রেফতার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল হাসান আহত হন।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশি চৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী। কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ‘ভুয়া পুলিশ’ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি।

পরের মাস মার্চের ৫ তারিখে রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে ৩০০ ফিটের মাথায় রাস্তার ওপর বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন অটোরিকশা চালকরা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ওপর হামলা করা হয়।

পাঁচ দিন পর ১০ মার্চ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনারপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।

১৯ মার্চ রাজধানীর খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে আহত করেন স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিতে গেলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে থানার ওসি (তদন্ত) আশিকুর রহমান গুরুতর আহত হন।

মার্চের ২৬ তারিখে রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কে ভিকারুননিসা স্কুলের গলিতে ছয় তলা একটি ভবনে ডাকাতির খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পরের মাস এপ্রিলের ১ তারিখে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে কচুয়া থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি একলাছ শেখকে (৩৩) গজালিয়া সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। তাকে ছিনিয়ে নিতে স্থানীয় গজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শিকদার জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। মারধরে কচুয়া থানার এসআই আহমেদ কবির, গজালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই রাকিব মোল্লা, পুলিশ কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান ও রঞ্জন বিশ্বাস আহত হন।

এক সপ্তাহ পর ৮ এপ্রিল বগুড়ায় অপহৃত ট্রাকচালককে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের ওপর যুবদলের নেতার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলায় বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই ফিরোজ ও কনস্টেবল মাহবুব গুরুতর আহত হন।

২৬ এপ্রিল শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া বাজারে মেলায় জুয়ার আসরে অভিযানের সময় হামলার শিকার হয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হন। আহতরা হলেন ঝিনাইগাতী থানার এসআই হারুন অর রশিদ, এএসআই মো. মনিরুজ্জামান, কনস্টেবল তাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও ফরহাদ আলী।

police_2
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

দুই দিন পর ২৮ এপ্রিল ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মাঝে কিছুদিন পুলিশের ওপর হামলার বন্ধ থাকলেও আগস্ট মাস থেকে আবারও বেড়ে যায়।

১৬ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি পালনের সময় হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।

১১ আগস্ট চট্টগ্রামে একটি দলের রাজনৈতিক মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বন্দর থানার এক উপপরিদর্শক গুরুতর আহত হন।

২৫ আগস্ট মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে বসানো পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশের ওপর হামলা করে ডাকাতরা। তারা থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় অবৈধ রিকশার গ্যারেজে অভিযান চালাতে যায় পুলিশ। এ সময় ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির এক সদস্য গুরুতর আহত হন।

পরদিন ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গাড়ি ছাড়তে দেরি করায় ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলামকে মারধর করেন এক চিকিৎসক। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।

৮ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর বাজারে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপির এক নেতার ভাইসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশের এক এএসআইসহ দুইজন আহত হয়।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুর্গাপূজার মণ্ডপে গান বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সাবেক নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

একই মাসের শুরুর দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আরও যত হামলা

৪ অক্টোবর নরসিংদীর পৌর শহরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়া অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ারের ওপর হামলা চালিয়ে দুইজনকে ছিনিয়ে নেয় ৩০-৩৫ জন। একইদিন বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতারের পর হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেয় তার সমর্থকরা।

৫ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে চেকপোস্টে ট্রাক শ্রমিকদের একটি অংশ পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।

দুই দিন পর ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে মব সৃষ্টি করে পুলিশের এক সদস্যকে আহত করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। একইদিন ফেনীর সোনাগাজী থানায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

৯ অক্টোবর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সওদাগরপাড়া এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই উপপরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

একইদিন গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রধান সড়কে উঠতে না দেওয়ায় সাঈদ নামে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশের মাথা ফাটিয়ে দেয় মো. মুস্তাকিন নামের এক অটোরিকশাচালক। পরে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।

পরদিন ১০ অক্টোবর শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের জৈনাবাজারে মহাসড়কের মাঝখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানোয় চালককে জরিমানা করায় হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবল আব্দুর রবকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন বাসচালক ও তার সহযোগী।

১৮ অক্টোবর জাতীয় সংসদের সামনে জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকায় কর্মরত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানায় ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ। সংঘর্ষের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯০০ জনকে।

শুধু চলতি বছরই নয়, তারও আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের ওপর অনেক হামলা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে হামলার ঘটনা ঘটায় কিছুটা উদ্বেগ বেড়েছে। এসব ঘটনা আমলে নিয়ে সদর দফতরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সকল জেলার পুলিশকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি হামলার ঘটনা তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।

সমাধানের পথ কী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাজের যে ধরন বা আইন থাকা প্রয়োজন, সেই জায়গাটিতে পুলিশ পরিপূর্ণভাবে ফিরতে পারছে না। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর পুলিশ এখনও মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তার পূর্ণ সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এর ফলে মাঠে বেশি আক্রমণের শিকার হচ্ছে পুলিশ।

তৌহিদুল হক বলেন, ‘পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের একটা ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে এখনো উচ্চপর্যায় থেকে তৃনমূল পর্যন্ত কীভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তা নিয়ে একটা সমন্বয়হীনতা আছে। কারও রাজনৈতিক পরিচয় থাকলে তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে বা করবে কিনা তা নিয়ে পুলিশের মধ্যে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব হীনমন্যতা আছে। এসবকে লক্ষ্য করেই কিন্তু অপরাধীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে।’

এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পুলিশকে কী করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে যত দেরি করবে তত মাঠে আক্রমণের শিকার হতে থাকবে। পুলিশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে একটি পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। পুলিশকে নতুন করে ঢেলে সাজানো এবং তাদের আরও সক্রিয় করতে হবে। কেউ মারমুখী আচরণ করলে পুলিশ যদি উচিত জবাব না দিতে পারে তবে পুলিশের জন্য আক্রমণ মোকাবিলা করা কঠিন হবে। আক্রমণ মোকাবিলা করতে পারলে অপরাধীরা ভয়ে থাকবে এবং মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসবে।’ -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - আর্ন্তজাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

সিদ্ধার্থ-কিয়ারার মেয়ের ‘ভুয়া’ ছবি ভাইরাল

বিরামপুরে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

বিমানবন্দর দিয়ে ‘দেশ ছাড়লেন’ শেখ হাসিনার চাচা

‘মধ্যপ্রাচ্যে ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া’

পাঁচবিবিতে সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কিনার মৃত্যু

নতুন পর্যবেক্ষক নীতিমালা জারি, আগের সব সংস্থার নিবন্ধন বাতিল

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টা : সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত সম্ভব

ছাত্রলীগে ‘লুকিয়ে থাকা’ শিবিরকে বাঁচানোর অভিযোগ, যা বললেন সাদিক কায়েম