(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ সুনাদে যে গণহত্যা চলছে, সে ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
পোস্টে আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটে পড়েছে আফ্রিকার দেশ সুদান। গত তিন দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা, যার মধ্যে হাসপাতালের প্রায় ৫০০ রোগী এবং তাদের স্বজনও রয়েছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘শুধু তা-ই নয়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
আহমাদুল্লার অভিযোগ, ‘দরিদ্র দেশটিতে এতবড় মানবিক বিপর্যয় চলছে, অথচ বিপর্যয়ের তুলনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।’
তার প্রশ্ন, ‘আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানামুখী প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নই কি তবে সত্য? শান্তিরক্ষার নামে আফ্রিকায় তাদের কাজ কি তবে শুধুই নিজেদের আখের গোছানো? শান্তিরক্ষা নামের সার্থকতা রক্ষার্থেও কি তারা সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না?’
আহমাদুল্লার আরও প্রশ্ন, ‘এই একই ঘটনা উন্নত কোনো দেশে সংঘটিত হলে পৃথিবীজুড়ে যে তোলপাড় শুরু হতো এবং যে পরিমাণ মিডিয়া কাভারেজ পেত, তার সিকিভাগ মনোযোগও কি পাচ্ছে সুদান? গরিব এবং মুসলমান বলেই কি কথিত সভ্যদের কাছে তাদের জীবনের কোনো দাম নেই?’

প্রসঙ্গত, আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দখলে নেওয়ার পরেও সুদানের আল-ফাশের শহর এবং এর আশেপাশে গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। স্যাটেলাইটে ধারণকৃত নতুন ছবিতে তারই প্রমাণ মিলেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) পোর্ট সুদান থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে নিয়মিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আরএসএফ গত রোববার আল-ফাশের দখল করে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীকে তাদের শেষ শক্ত ঘাঁটি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
সুদানের আল-ফাশেরে সেনাবাহিনীর পতনের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর আক্রমণ, লুটপাট ও অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন।
আল-ফাশের থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নিকটবর্তী শহর তাবিলায় পৌঁছানো কয়েকজন এএফপিকে গণহত্যা, বাবা-মায়ের সামনে শিশুদের গুলি করা এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক নাগরিকদের মারধর ও লুটপাটের কথা জানান। -ডেস্ক রিপোর্ট



















