মো. ইসমাইল হোসেন (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বয়স বেড়েছে, চুলের রঙ বদলেছে, কিন্তু হৃদয়ের টান আর খুনসুটির সেই ভাষা আজও একই আছে (গত মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর ২০২৫) দিনাজপুর সেন্ট যোসেফস্ স্কুল প্রাঙ্গণে তারই এক অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হলো। সুদূর আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের মাটি থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে শৈশবের আঙিনায় ফিরে এসেছিলেন স্কুলের এক বিশেষ ব্যাচের প্রবীণরা।
এই বিশেষ ব্যাচটি ছিল ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭২ সালের, যাদের হাত ধরেই প্রথম খোলা হয়েছিল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণি এক সোনালী ও গর্বের অতীত! বর্তমানে তাঁরা প্রত্যেকেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত, বড় বড় পদে কর্মরত,কিন্তু গতকাল সেন্ট যোসেফস্ স্কুলের এই প্রাঙ্গণ তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেই ছোট্টবেলার অকৃত্রিম শৈশবে।
পুনর্মিলনীতে সবচেয়ে বেশি মন ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্যটি ছিল স্কুলের সিস্টারদের দেখেই সেই ছোটবেলার মতো পিঠ পেতে দুষ্টুমির জন্য একটু পিটন (মার) দিন বলার আবদার আর হাসি-ঠাট্টা। জীবনের পথে সবাই অনেক বড় হলেও, প্রিয় সিস্টারদের কাছে তাঁরা যেন আজও সেই দুষ্টুমিভরা ছোট্ট শিশুটিই রয়ে গেছেন। স্কুলের প্রিয় কাঠগোলাপের গাছটি যেন আজও তাদের কাছে এক প্রাণবন্ত স্মৃতি বহন করছে।
স্কুল জীবনের সেই নিখাদ ভালোবাসা ও অকপট সম্পর্কের সাথে আর কিছুর তুলনা হয় না, যা আরও একবার প্রমাণিত হলো। এই আবেগঘন পুনর্মিলনীটি সহপাঠীদের মধ্যে ভাতৃত্বের এক অনন্য বন্ধন তুলে ধরল।



















