(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের চেতনা ও স্পিরিট থেকে সরে গেছে।
তিনি বলেন, যে চেতনা ও জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছিল, বর্তমান সরকার সেই অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনের নামে পুরোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আবারও প্রভাব বিস্তার করছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থী।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধি সংবর্ধনা-২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, বিগত সরকারের আমলে ফ্যাসিবাদী সময়ে একটি দল মুক্তিযুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ব্যবসা করেছিল। শাহবাগ কায়েম করার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রির কোনো ব্যবসা চলবে না। জুলাই চেতনা নিয়ে যারা ব্যবসা করতে চাইবে, সেই ব্যবসাও চলবে না।
তিনি আরও বলেন, জুলাই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে যারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইবে—শুধু সেই রাজনীতিই টিকে থাকবে। সবাইকে আমি অনুরোধ করবো, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করুন। শহীদদের আত্মত্যাগ ও গাজীদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদরা যে ইনসাফভিত্তিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটিই এখন আমাদের গড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি হবে কল্যাণভিত্তিক ও নৈতিক রাজনীতি। নতুন বাংলাদেশে পেশিশক্তির রাজনীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ফাও খাওয়ার রাজনীতি চলবে না।এই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইন্ডাস্ট্রি ব্যবসা চলবে না ।
সাদিক কায়েম বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চায়, তারা দিল্লির বয়ান দেয়। মুজিববাদী বয়ানে তারা আবার ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তার থেকেও ভয়াবহ পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনকে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে হবে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে প্রবীণ রাজনীতিবিদরা জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করছেন না। তাদের মধ্যে দাম্ভিকতা স্পষ্ট।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে সরে গেছে উল্লেখ করে ডাকসু ভিপি আরও বলেন, এই সরকার শহীদদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রথম কাজ ছিল জুলাই শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করা এবং খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু দেড় বছরেও তাদের বিরুদ্ধে একটি রায় পর্যন্ত দিতে পারেনি।



















