(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ’আমি দীর্ঘ নয় মাস হাসপাতালের বিছানায় আহাজারি করেছি। ব্যথায় ঘুমাতে পারিনি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বুলেট নিয়ে কাতরাতে হয়েছে। এমন ব্যথার যন্ত্রণা ছিল হাসিনার ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য। এবার ফাঁসির মঞ্চে হাসিনার আহাজারি দেখতে চাই।’
গণঅভ্যুত্থান উত্তরা এলাকায় আহত মুস্তাঈন বিল্লাহ নামে এক জুলাই যোদ্ধা এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন।
মুস্তাঈন বিল্লাহ বলেন, ‘১৯ জুলাই উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি আমার পিঠে এসে লাগে। এতে আমি আহত হই। একই সময়ে উত্তরা এলাকায় যুবলীগের সভাপতির ছোড়া গুলি এসে বাম হাতে লাগে। এতে আমি পুরোপুরি আহত হই। আমাকে আন্দোলনে থাকা কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৯ মাস আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এরপর কিছু সুস্থ হই। কিন্তু এখনো আমি আমার বাম হাতে কোনো কিছু টের পাই না। ভেতরে এক ইঞ্চির একটি বুলেট রয়ে গেছে। আমি ঘাতক হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দেখার জন্য আজকে ট্রাইব্যুনালের সমানে এসেছি।’

এই জুলাই যোদ্ধা বলেন, ‘আজকে এই রায়ের মাধ্যমে খুনি হাসিনার বিচার করা হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। কখন এমন ক্ষমতাধর একজন স্বৈরশাসকের রায় দেখতে পারবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি করি, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে যেন রায় কার্যকর করে।’
মো. সালমান হোসেন নামে আরেক আহত জুলাই যোদ্ধা বলেন, আমি মেরুল বাড্ডা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হই। আমার বা পায়ের উরুর এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। আমার উরুর হাড্ডি খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়। আমি তিন মাস হাসপাতালের বিচানায় কাতরিয়েছি। ব্যথার যন্ত্রণায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা আমাদের এমন হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের ঘুম কেড়ে নিয়ে আরাম আয়েশের জীবন কাটাবে, তা হতে পারে না।
এদিকে সকাল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা হাসিনার রায় দেখতে ভিড় করেছেন। সবার একটাই দাবি, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ জড়িত সবার রায় দ্রুত কার্যকর হোক। -ডেস্ক রিপোর্ট



















