(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) তাওহিদ হৃদয়ের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের পরও তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সফররত আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৯ রানে হেরে গেল স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে আইরিশদের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা থেমেছে ১৪২ রানে।
এদিন বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ১৮ রানে তারা হারায় প্রথমসারির চার ব্যাটার তানজিদ হাসান সাকিব, পারভেজ হোসাইন ইমন, লিটন দাশ ও সাইফ হাসানকে। তাদের চারজনের সংগ্রহ যথাক্রমে ২, ১, ১ ও ৬।
এরপর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন পাঁচ নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু সেই চেষ্টাও বেশিদূর আগায়নি। ব্যক্তিগত ২০ রানে ফিরে যান জাকের। দলীয় সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ৬৬।
সতীর্থদের আশা-যাওয়ার মাঝে একপাশ আগলে রাখেন তাওহিদ হৃদয়। শেষপর্যন্ত ব্যাট চালিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। শেষ দিকে তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ফেরেন ১২ রানে। কিন্তু তখনও ম্যাচ থেকে তারা বহু দূরে।
শেষপর্যন্ত ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে বাংলাদেশ। ৩৯ রানে জিতে যায় আয়ারল্যান্ড। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ তে এগিয়ে গেল সফররত আইরিশরা।

এদিন সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ চার বাংলাদেশিকে বধ করেন আইরিশ পেসার ম্যাথিউ হামফ্রিস। তিনটি উইকেট নেন বেরি ম্যাকার্থি। এছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেন মার্ক অ্যাডায়ার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এদিন টসে জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ভালো সূচনা করে আইরিশরা। তাদের উদ্বোধনী জুটি অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টর মাত্র ৪ ওভারে ৪০ রাত তুলে ফেলে। সে সময় আয়ারল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ভয়ংকর হয়ে ওঠা স্টার্লিংকে ব্যক্তিগত ২১ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।
এরপরও স্বাচ্ছন্দেই ব্যাট চালাতে থাকেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে তারা ১৮১ রান সংগ্রহ করে। ফলে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২।

এদিন আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছেন হ্যারি টেক্টর। ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। যার মধ্যে পাঁচটিই বিশাল ছক্কার মার। অন্যদিকে চার মেরেছেন মাত্র একটি। এছাড়া ওপেনার টিম টেক্টর ৩২, লরকান টাকার ১৮, কার্টিস ক্যাম্ফার ২৪ এবং জর্জ ডাকরেল অপরাজিত ১২ রান করেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশি বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার রিশাদ হোসাইন নেন একটি করে উইকেট।
এদিন সর্বশেষ একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে খেলা নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী ও তাসকিন আহমেদ স্কোয়াডে ছিলেন না। তাদের পরিবর্তে যুক্ত হন তাওহিদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে তিন ম্যাচের এই সিরিজই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। তবে শেষের শুরুটা সুখকর হলো না। সামনের ম্যাচে তাদের সামনে সমতায় ফেরার সুযোগ। হারলেই সিরিজ আয়ারল্যান্ডের। -নিউজ ডেস্ক



















