মঙ্গলবার , ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

যমজ বোনের জোড়া বাজিমাত: মেডিকেল কলেজে মাখনুন-মুসফিকা

প্রতিবেদক
admin
ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ ১২:৪১ অপরাহ্ণ

মো. ইসমাইল হোসেন, (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডট কম) প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা সাফল্যের গল্প সবসময়ই বিশেষ। আর সেই গল্পে যখন যমজ দুই বোন একসঙ্গে দেশের প্রথম সারির দুটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান, তখন তা কেবল একটি পরিবারের নয়, পুরো অঞ্চলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানীয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মো. মশিউর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা।

মশিউর রহমান, যিনি মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অফিস সহকারী, সামান্য আয়ের মধ্যেও তার তিন কন্যা সন্তানকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার স্ত্রী নাজমুন নাহারও পাশে ছিলেন দৃঢ়ভাবে। সমাজের প্রথাগত ধারণা এবং সীমিত আর্থিক সংস্থান কখনও তাঁদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। বাবা-মায়ের এই নিরলস প্রচেষ্টা, ত্যাগ এবং বিশ্বাসই আজ যমজ দুই বোনের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের ভিত্তি।

এই সাফল্যের আলোকবর্তিকা নিয়ে এসেছেন মাখনুন আখতার ও মুসফিকা নাসনিন।

মাখনুন আখতার: তিনি ৬৯০তম মেধাক্রম অর্জন করে রাজধানী ঢাকার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

মুসফিকা নাসনিন: তিনি ১২৩১তম মেধাক্রম অর্জন করে উত্তরের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এই দুই মেধাবী ছাত্রী তাদের বড় বোনের পথ ধরে দিনাজপুর সরকারি কলেজে সফলতার সাথে এইচএসসি পাস করেন এবং একসঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। একসাথে প্রস্তুতি নেওয়া, একে অপরের শক্তি হওয়া- হয়তো এটাই ছিল তাদের যৌথ সাফল্যের মূলমন্ত্র।

তিন কন্যা সন্তানের জননী নাজমুন নাহার এই সাফল্যের মূলে সবচেয়ে বড় প্রেরণা। যমজ কন্যাদের এই বিশাল কৃতিত্বে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিন কন্যা সন্তান নিয়ে কখনও দুশ্চিন্তা করিনি। যেভাবেই হোক তাদের লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি, অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি বলেন। আজ আমার যমজ দুই কন্যা সন্তান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আপনারা দোয়া করবেন, ওরা যেন মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে।

মা-বাবার এমন আন্তরিক চেষ্টা ও বিশ্বাসের ফসল মাখনুন-মুসফিকার এই অর্জন কেবল একটি পরিবারকে আলোকিত করেনি, এটি বোচাগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আরও অনেক বাবা-মাকে তাদের কন্যা সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছে। তাদের এই ‘জোড়া সাফল্য’ সমাজের কাছে এক বার্তা বহন করে- সঠিক পরিচর্যা পেলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরাও সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে।

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত