(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহের পর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। বিকেল থেকেই হঠাৎ ঝড়ের কারণে পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
রোববার (১১ মে) বিকেল থেকে শুরু হয় হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টি। এই ঝড়ো বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকেলে সরেজমিনে তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টির কারণে ষাটোর্ধ্ব পাথর শ্রমিক আব্দুল বাসেদ নামের এক বৃদ্ধের একমাত্র বসতঘর ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে। বসবাসের একমাত্র ঘরটি ভেঙে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বাসেদের একমাত্র সহায়-সম্বল ছিল এই ঝুপড়িঘরটি, যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। কালবৈশাখীর ঝড়ে ঘরটি সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আব্দুল বাসেদ বলেন, ‘আমার থাকার একমাত্র ঘরটি হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে। সেখানেই কোনোরকমে রাত কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু এই ঝড়বৃষ্টিতে সেটাও শেষ হয়ে গেল। এখন কী হবে, কোথায় যাব, কিছুই জানি না। সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। কোনো সহায়তা পাইনি। উপরন্তু বৃষ্টি কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন থাকার জায়গা বা খাবারের কিছুই নেই।’
অন্যদিকে, পঞ্চগড়ের আরও কয়েকটি উপজেলাতেও বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত, যার ফলে কোথাও কোথাও গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। যদিও এই বৃষ্টিপাত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর জনমনে কিছুটা স্বস্তি এনেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে সে অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী জানান, ‘হঠাৎ ঝড়বৃষ্টিতে আব্দুল বাসেদের বসতঘরটি ভেঙে গেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আপাতত ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খাওয়ার ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। আমি আমার জায়গা থেকে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।’