(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সরকার চিঠি দিলে বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকারের আওতাধীন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে, তখন কমিশনে বসে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি। কাজেই এই মুহূর্তে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই। আমরা যখন চিঠি পাবো, তখন কমিশন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, শেখ হাসিনার সরকার দেশত্যাগের পর ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর ১৯ আগস্ট একযোগে ১২টি সিটি করপোরেশন ও ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর ওইসব সিটি ও পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পদ ফাঁকা থাকায় এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাই এসব প্রতিষ্ঠানের রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কার্যকর সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন নাগরিকরা। বিশেষ করে কাউন্সিলর ও সদস্যদের না থাকায় জনসাধারণ নানা ধরনের সমস্যায় পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে সরকার। সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন তার সমর্থকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। তবে গত ২৭ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাপসের বিজয় বাতিল করে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইশরাককে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে। -ডেস্ক রিপোর্ট