মঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | ১২ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

৬-৭ প্রকার কেমিক্যাল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে: ফায়ার সার্ভিস

প্রতিবেদক
admin
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ২:৪৯ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও ‘কসমিক ফার্মা’ নামের কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানাটিতে ছয় থেকে সাত প্রকার কেমিক্যাল ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতরা সবাই গার্মেন্টসের। তাদের মরদেহ এমনভাবে পুড়েছে যে, তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ঘটনাস্থলের পাশে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী৷

উদ্ধারকাজের বিবরণ তুলে ধরে ফায়ার সার্ভিস পরিচালক বলেন, সার্চ অপারেশন শেষে গার্মেন্টসের ভেতর থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের চেহারাগুলো বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্তে আমরা বলতে পারি, এই গার্মেন্টসটির ওপরে যে ছাদটি দেখেছি, সেটি পুরোটা টিনসেড ও চাঁটাই। সেই ছাদটা আবার বন্ধ ছিল৷ ফলে ছাদে কেউ উঠতে পারেনি। ছাদের ওপরে যে গ্রিলের দরজা ছিল তাতে দুটি তালা মারা ছিল। এখনো তালা মারাই রয়েছে। এ কারণে ওপরের দিকে তারা যেতে পারেনি।

Fire344

ধোঁয়ার কারণে আটকেপড়া ব্যক্তিরা মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যে পরিমাণ কেমিক্যালের বিস্ফোরণটা হয়েছে, তাতে যে টক্সিক গ্যাসটা, সাদা ধোঁয়াটা, এটা ছড়িয়ে পড়ার কারণে আকস্মিকভাবে তারা অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, আমরা ১৬টি মরদেহ গার্মেন্টস কারখানাটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করেছি। তারা হয়ত ওপর-নিচে যেতে পারেনি। এ কারণে মৃত্যু হয়েছে। চেহারাগুলো কোনোভাবে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। কারণ সেগুলো চেনা যাচ্ছে না। তবে আমরা সেগুলোর ডিএনএ টেস্ট করাবো।

তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন স্বেচ্ছাসেবক আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের কেউ আহত হননি। গার্মেন্টস মালিককে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃতদেহগুলো অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢামেকের মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Fire22

আগুন এখনো পুরোপুরি নিভেনি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আগুন নেভাতে এখন পর্যন্ত ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এখনো কাজ চলছে। গার্মেন্টস অংশের আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। কিন্তু যে অংশটুকু কেমিক্যাল সে অংশটুকু এখনো নিয়ন্ত্রণ হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে। আমরা কেমিক্যালের অংশটুকু চেক করছি। আগুন নিয়ন্ত্রণ হতে সময় লাগবে। কারখানাটিতে ছয় থেকে সাত প্রকার কেমিক্যাল ছিল। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসতে সময় লাগবে। ফায়ারের অপারেশন পরিচালক বলেন, আগুনটা অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। যারা গার্মেন্টসে ছিল তারা ওই সময় বের হতে পারেননি। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - আর্ন্তজাতিক