শনিবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৫ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

রাউজানে গুলিতে জানে আলম বাহিনীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ নিহত

প্রতিবেদক
admin
অক্টোবর ২৫, ২০২৫ ৪:২২ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তের গুলিতে জানে আলম বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমগীর ওরফে আলম নিহত হয়েছেন। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পৌরসভার রশিদারপাড়া সড়কে গতিরোধ করে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত আলমগীর ওরফে আলমকে (৫০) যুবদল নেতা দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকার।

হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, শনিবার বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব রাউজান সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির পৌরসভা যুবদল নেতা আলমগীরকে তার বাড়ির অদূরে কায়কোবাদ জামে মসজিদের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে খুন করেছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছেন। আজকে সে স্বাধীন সার্বভৌম দেশের এ সময়ে রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলো।

বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত খুনি এবং খুনের নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। রাউজানের আতঙ্কিত আপামর জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্যও জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

তবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল জানিয়েছেন, নিহত আলমগীর আলমগীর যুবদলের কেউ নন। তিনি এলাকায় আলম ডাকাত হিসেবে পরিচিত। তবে এ ঘটনা যে বা যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ একটি সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, নিহত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৩ সালে র‌্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে রাউজানে নিহত সন্ত্রাসী জানে আলমের বাহিনীর প্রধান জানে আলমসহ ১১ জন নিহত হন। ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই আলম। তিনি একটি অস্ত্র মামলায় ১০ বছর কারাভোগ করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাউজানে গত ৫ আগস্ট অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত ১৭টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্য ১২টি হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - অর্থনীতি