শুক্রবার , ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

বাংলাদেশের আমদানি কমায় কাঁদছেন ভারতের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদক
admin
নভেম্বর ২৮, ২০২৫ ৪:০১ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ভারতের পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ এখন আরও দেশটি থেকে আগের মতো পেঁয়াজ আমদানি করছে না। দেশটির পেঁয়াজের আরেক ক্রেতা সৌদি আরবও ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে এই দুই দেশই পেঁয়াজের জন্য পাকিস্তান ও চীনের মতো বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকেছে, যা ভারতের পেঁয়াজের বাজারকে ভয়াবহ মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে ভারতের পেঁয়াজ চাষিদের অবস্থান ঝুঁকিতে পড়ছে তার জন্য ভারত নিজেই দায়ী। মূলত স্থানীয় বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে একাধিকবার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত, যার কারণে আমদানিকারী দেশগুলো বিকল্প বাজার খুঁজে নিয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের পেঁয়াজের বীজ ব্যবহার করেই প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলো পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিজেদের স্বনির্ভর করছে বলে সতর্কতা দিয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক সময় ভারত তাদের মোট পেঁয়াজ রফতানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশ বাংলাদেশে সরবরাহ করত। কিন্তু গত আট মাসে খুবই কম পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে ঢাকা, যদিও বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এছাড়া গত প্রায় এক বছরে সৌদি আরব ভারত থেকে খুব কম পেঁয়াজ কিনেছে। এক সময় বাংলাদেশি বাজার ভারতের রফতানিকারকদের উচ্ছ্বসিত করলেও এখন সেই বাজারই তাদের জন্য হতাশার কারণ।

রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে ভারতের পেঁয়াজের বীজ বাংলাদেশসহ ভারতের অন্যান্য ক্রেতাদের কাছে চলে যাচ্ছে। এরমধ্যে আমদানিকারক দেশগুলো স্বনির্ভর হচ্ছে, যা এই খাতে ভারতের আধিপত্যকে আরও দুর্বল করছে।

অজিত শাহ নামে এক পেঁয়াজ আমদানিকারক ইকোনোমিক টাইমসকে বলেছেন, ‘আমাদের পেঁয়াজের কোয়ালিটির জন্য আমরা ভালো দাম আদায় করতে পারতাম। কিন্তু রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা যখন আন্তর্জাতিক বাজারে ছিলাম না। তখন আমাদের ক্রেতারা বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজেছে। এখন ক্রেতারা আর কোয়ালিটি দেখে না। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলো কত দামে পেঁয়াজ দিচ্ছে, তারা সেটি দেখে।’

ইকোনোমিক টাইমস জানায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ছয় মাসের জন্য পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়  ভারত। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আরও পাঁচ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার। এরফলে ভারতের পেঁয়াজের ওপর যেসব দেশ নির্ভরশীল ছিল সেসব দেশে দাম বেড়ে যায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ ভারতের কাছে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠায়। এতে পেঁয়াজ রফতানিতে এত ঘনঘন পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

অন্যাদিকে বর্তমানে স্থানীয় কৃষকদের রক্ষায় বাংলাদেশ ভারত থেকে আর পেঁয়াজ কিনছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৭ দশমিক ২৪ লাখ টন পেঁয়াজ রফতানি করেছিল, যা তাদের মোট রফতানির ৪২ শতাংশ ছিল।
সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মাত্র ১২ হাজার ৯০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে বাংলাদেশ।

যদিও এরজন্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। কিন্তু রফতানিকারকরা বলছেন বারবার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণেই ক্রেতা দেশগুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব ট্রেডের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য পাশা প্যাটেল বলেছেন, ‘আমরা শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যগত ক্রেতাদের হারাইনি, তারা ভারতের পেঁয়াজ বীজ ব্যবহার করে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া শুরু করেছে।’

ভারতীয় রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, সৌদি আরবও প্রায় এক বছর ধরে তাদের পেঁয়াজ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে রফতানিকারদের সঙ্গে কথা বলে ভারত সরকার। তখন তারা জানান, ভারতীয় রফতানিকারকদের রফতানি অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি, কারণ ইয়েমেন এবং ইরান থেকে কমদামে পেঁয়াজ পাওয়ায় তারা সেদিকে ঝুঁকেছে। অপরদিকে ফিলিপাইনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, চীনা পেঁয়াজ না থাকলে তবেই তারা ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত