রবিবার , ২৩ জুন ২০২৪ | ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসাতে অপারেশন থিয়েটারে খালেদা

প্রতিবেদক
admin
জুন ২৩, ২০২৪ ২:১৯ অপরাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। এজন্য খালেদা জিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) বিকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।

এই চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল, একটা স্টেন্টও লাগানো ছিল। সব কিছু পর্যালোচনা করে এখন মেডিকেলে বোর্ড ম্যাডামের হার্টে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনাকে বিশেষায়িত কক্ষ নেওয়া হয়েছে। ম্যাডামের পরিবার ও বিএনপি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।’

পেসমেকার হলো হৃৎস্পন্দন নিয়মিত রাখার কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করে হৃদপেশিতে পাঠায় এবং হৃদপিণ্ডের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যখন হৃদপিণ্ডের নিজস্ব পেসমেকার বা এসএ নোড পর্যাপ্ত গতিতে ‘ইমপাল্স’ তৈরি করতে না পারে বা হৃদপিণ্ডের তড়িৎ পরিবহণের রাস্তা আটকে যায়, তখন হৃদপিণ্ডের গতি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হল পেসমেকারের প্রাথমিক কাজ, যাতে হৃদপিণ্ড ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২১ জুন) রাত ৩টায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন। এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতে তার পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে দুই শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। শর্ত হলো, তাকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - রাজনীতি