(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এখনো অনুপস্থিত রয়েছেন ১০ শতাংশ কর্মকর্তা। ডিএমপির সকল কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো কিছু কর্মকর্তা অনুপস্থি রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বেধে দেওয়া শেষ সময় ছিলো বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। কিন্তু সেই সময় পার হলেও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ১০ শতাংশ কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হতে পারে বলে ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘাত-সহিংসতায় পুলিশসহ প্রায় সহস্রাধিক নিহত-আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তাসহ ১১ দাতিতে কর্মবিরতির ঘোষনাপ দেন। একপর্যায়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও স্বারাষ্ট্র উপদেষ্টা বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেন। যারা এই সময়ের মধ্যে না আসবে ধরে নেওয়া হবে অনুপস্থিত হওয়া পুলিশ সদস্যরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এই ঘোষনার থানা ও জেলা পুলিশের অন্তত ৯৫ শতাংশ সদস্য কাজে যোগদান করেছেন। তবে ডিএমপির অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১০ শতাংশ কর্মকর্তা এখনো অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য কাজে ফিরেছেন। আমরা আশাবাদী বাকিরাও দ্রুতই কাজে ফিরবেন। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে চাকরিতে যোগদান না করলে ধরে নেওয়া হবে তারা চাকরিতে ইচ্ছুক নন। তবে বেশির ভাগ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও এখনো কিছু কর্মকর্তাদের কক্ষের সামনে তালা ঝুলছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি কিংবা ক্ষমতাচ্যুত সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত ডিএমপির ১০ শতাংশ কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি।
ডিএমপি সূত্র বলছে, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারসহ অন্তত ১০ শতাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাজে যোগ দেননি। এর মধ্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার থেকে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। তবে উপপরিদর্শক ও পরিদর্শক পদমর্জাদার প্রায় শতভাগ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে। তবে যারা এখনো অনুপস্থিত রয়েছে তাদের মধ্যে প্রায়ই অসুস্থ অবস্থায় আছেন।
ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগ ও প্রশাসন বিভাগসহ দুই-একটি ইউনিটের সদস্যরা পুরোদমে অফিস করছেন। বাকিদের কক্ষে তালা ঝোলানো দেখা যায়। অনেকের ফোনও বন্ধ। তবে থানাগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। থানাগুলো চালু হলেও তেমন মামলা হয়নি। তবে বিভিন্ন নিখোঁজ, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ভাঙচুর ও দোকান লুটপাট সংক্রান্ত অভিযোগ আসছে থানাগুলোতে।
এদিকে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ৩ কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে। ডিএমপি সদরদফতর ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) কাজী মাকসুদা লিমাকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপকমিশনার, ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফারজানা ইয়াছমিনকে ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রশাসন) এবং ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী রোমানা নাসরিনকে ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার পদায়ন করা হয়েছে। -ডেস্ক রিপোর্ট