মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

অন্য দেশ থেকে আলু-পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ, চিন্তায় ভারত

প্রতিবেদক
admin
ডিসেম্বর ১০, ২০২৪ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দীর্ঘ কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। এতেই ভারতের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এবার ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ।

আর এক্ষেত্রে বিকল্প দেশ হতে পারে পাকিস্তানসহ অন্য আরও দেশ। আর এতেই বড় ধরনের চিন্তা ও উদ্বেগে পড়েছে নয়াদিল্লি। কারণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই দুটি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এতোদিন নির্ভরশীল ছিল ভারতের ওপরেই।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া.কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের চিনি আমদানির পর দেশটি এখন আলু এবং পেঁয়াজের জন্য অতিরিক্ত উৎসের অনুসন্ধান করছে। এর ফলে পাকিস্তান থেকে এই পণ্যগুলো কেনার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।

ইন্ডিয়া.কম বলছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত অত্যাচারের কারণে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং অতীতে আলু ও পেঁয়াজের প্রধান সরবরাহকারী ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে।

ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে তার আলু আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকে। আর পেঁয়াজ প্রাথমিকভাবে ভারত এবং মিয়ানমার থেকে নেয় বাংলাদেশ, তবে পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকেও কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় বাংলাদেশে। তবে ভারতীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম বাংলাদেশকে বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে বাধ্য করেছে বলে জানা গেছে।

এখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ এবং আলু রপ্তানিকারক বৃহত্তম দেশ হচ্ছে ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি প্রায় ৭.২৪ লাখ টনে পৌঁছেছে। যার মূল্য প্রায় ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বছরে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬.৭১ লাখ টন।

ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথে ভারতের দৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং ভারতের বস্ত্র ও কৃষি রপ্তানির মূল বাজার হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বাজারে ভারতের রপ্তানি ২০১০-১১ সালে ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২১-২২ সালে ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে বাংলাদেশে হাসিনার পতন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কমে গেছে।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) আলু ও পেঁয়াজ আমদানির জন্য বেশ কিছু সম্ভাব্য বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে এবং এটা দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যেই জানিয়েছে। এছাড়া এসব বিকল্প নিয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।

ইন্ডিয়া.কম বলছে, ভারত থেকে আলু না কিনে বিকল্প উৎস হিসেবে জার্মানি, মিসর, চীন এবং স্পেন থেকে এই আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে মনে করছে দেশটি।

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন বলেছেন, “বিটিটিসি আলু ও পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ স্থিতিশীল করতে বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে। আমরা আমদানিকারকদের এই বিকল্পগুলো বিবেচনা করার আহ্বান জানাব।”

বাংলাদেশ কেন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটিও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এটি বলেছে, কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপের পেছনে প্রাথমিক কারণ হিসাবে “ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজ এবং আলুর ক্রমবর্ধমান দাম” এবং (বাংলাদেশে) “রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত” উল্লেখ করেছেন। -নিউজ ডেস্ক

সর্বশেষ - রাজনীতি