আব্দুস সালাম (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সবজি ও ফসল চাষের ওপর এক উন্নততর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফুলবাড়ী পৌরসভার দক্ষিণ কৃষ্ণপুরে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে)-এর উদ্যোগে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহায়তায় এ আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহিনুর ইসলাম ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর প্রতিনিধি মাসউদ রানা প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী কৃষি অফিসার শাহিনুর ইসলাম বলেন, জৈব সার, ভার্মি কম্পোস্ট, এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহার শুধু চাষাবাদকে নিরাপদ করে তোলে না, এটি মাটির উর্বরতা ও ফসলের গুণগত মানও বাড়ায়। তিনি কোকোডাস্ট, অনুজীব সার তৈরি এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা নিয়ে হাতে-কলমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেন।
ক্যাব প্রতিনিধি মাসউদ রানা রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, রাসায়নিক পদার্থের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কেবল ফসল নয়, আমাদের শরীরকেও বিষাক্ত করে তুলছে। এর বদলে প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদ করলে ফসল পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন, অর্গানিক খাদ্যের চাহিদা দেশ-বিদেশে দিন দিন বাড়ছে। আমাদের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি ইউরোপের বাজারেও যাচ্ছে। এভাবে যদি আমরা চাষ ও রপ্তানির পরিসর বাড়াতে পারি, তাহলে কৃষকদের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
অনুষ্ঠানে ব্রকলি, কাটাবেগুনের চারা এবং বিটরুটের বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন এভিসিএফ ফিরোজ কবির।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কৃষকরা জানান, নতুন প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি শিখে তারা উৎসাহিত হয়েছেন। অনেকেই জানান, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের পরিকল্পনা করছেন।
এ ধরনের উদ্যোগ শুধু কৃষকদের আয়ের পথ খুলে দেবে না, বরং নিরাপদ খাদ্য সরবরাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।