দিলীপ কুমার রায় (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) মাঘের প্রথম সপ্তাহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, আর ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক বীজতলা নষ্ট চারা গুলি হলুদ বির্বণ হয়ে যাচ্ছে, এতে করে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, বোরো চাষীরা বোরো ধানের বীজের চারাগুলিকে রক্ষার জন্য কেউ বা কুয়াশার বালাইনাশক স্প্রে করছেন আবার অনেক কৃষক বিকালে বীজতলায় পানি সেচ দিয়ে আবার সকাল বেলায় জমি থেকে পানি বের করে দিচ্ছেন যাতে করে চারা গুলি সতেজ থাকে। উপজেলার ডহন্ডা গ্রামের কৃষক অতুল চন্দ্র রায় জানান, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে চারাগুলি হলুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চারাগুলি আবার মরে যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক সত্যেন্দ্র বলেন, কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলায় চারা লালচে বর্ণ ধারন করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে মরতে শুরু করে। ফলে বীজতলায় চারা উৎপাদন নিয়ে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
কাহারোল উপজেলায় চলতি বোরো মৌসমে ২শত ৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। এবার উপজেলায় ৫ হাজার ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, গত কয়েক দিনের মাঝারি শৈতপ্রবাহে বীজতলার তেমন ধরনের ক্ষতির সম্ভ্যবনা নেই। বীজতলা রক্ষার জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজতলার পানি জমিয়ে সকালে ছেড়ে দিতে হবে। এতে করে বোরো বীজতলার ক্ষতি হওয়ার কোন কারন নেই। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিচ্ছেন।