বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

আর্থনা সম্মেলনে ড. ইউনূস : চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা কাম্য

প্রতিবেদক
admin
এপ্রিল ২৪, ২০২৫ ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

মো: শাহ্ আলম নূর আকাশ, সম্পাদক (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বাংলাদেশ পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ববাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। মঙ্গলবার কাতারে ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। কাতার ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এ শীর্ষ সম্মেলনে ড. ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসাবে আমরা দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য। বস্তুত তিনি বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, যেখানে প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়নও মৌলিক বিষয় হিসাবে বিবেচিত হবে। সহনশীল, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বক্তৃতায় ড. ইউনূস নানা চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে আমরা এমন একটা সময় পার করছি, যখন জলবায়ু পরিবর্তন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাসহ নানা সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। নতুন বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বিভিন্ন দেশে নতুন নীতিমালা তৈরি হচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার ও ব্যবহার বাড়ছে। পরিবর্তিত বিশ্বে অতীতের অনেক অনুমান অচল হয়ে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। নতুন এক পৃথিবী গড়ে তোলার বিষয়ে অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আসুন আমরা সাহসী হই-সবাই মিলে এমন এক পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে, তিনি স্বপ্ন দেখতে না পারেন এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।’ আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ড কীভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে-বক্তৃতায় এসব বিষয়েও আলোকপাত করেন ড. ইউনূস।

গত বছর আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া অভ্যুত্থান বিশ্বে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সরকার যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে, তা আগামীতে দেশের মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণেও ভূমিকা রাখবে। বস্তুত দেশের মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে অব্যাহত গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও সুশাসনের স্বার্থে বর্তমান সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে এবং আগামীতে নেবে, পরবর্তী সরকারের আমলেও যাতে সেসব কার্যকর থাকে, তা নিশ্চিত করা দরকার। আশার কথা, আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো যোগ্য, সাহসী ও দূরদর্শী একজন নেতা পেয়েছি। তিনি যে বাংলাদেশ নির্মাণের কথা বলছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশবাসীকেও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আগামীতে দেশ পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্বের অভাব হলে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে কিনা সন্দেহ। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেসব বাধা অতিক্রমে করণীয় নির্ধারণে দেরি হলে আমরা বিশ্ববাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সফল হতে পাবর কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। -ডেস্ক

সর্বশেষ - সারাদেশ