(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের পক্ষ থেকে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে, যার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনে, বিশেষ করে ক্রিকেটে। পহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের বর্তমান থেকে সাবেক ক্রিকেটাররা এই ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। এবার পহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ সশস্ত্র হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সামা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর জন্য ভারতীয় সেনার ব্যর্থতাই দায়ী। আফ্রিদি বলেন, ‘সেখানে পটকা ফোটালেও ভারত দোষ চাপায় পাকিস্তানের ওপর। অথচ কাশ্মীরে তোমাদের আট লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এত সেনা থাকা সত্ত্বেও যদি পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে না পারো, তাহলে বুঝতে হবে তোমরা কোনো কাজের না।’ তিনি ভারতের গণমাধ্যমকেও কঠোর সমালোচনায় তুলে ধরেন। আফ্রিদির অভিযোগ, হামলার ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় গণমাধ্যম ‘বলিউডি নাটক’ শুরু করে দেয়। তার ভাষায়, ‘আল্লাহ’র ওয়াস্তে, সব কিছুকে বলিউডে পরিণত কোরো না। মৃতকে জীবিত বানিয়ে ফেলা আর জীবিতকে শহীদ বানানোর যে প্রবণতা, সেটা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে।’
আফ্রিদি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দল যখন ভারত সফরে যায়, তখন ব্যাঙ্গালুরুতে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় এবং পরবর্তীতেও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নানা রকম হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। অথচ এইসব ঘটনা উপেক্ষা করেই পাকিস্তান সফরে আসতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত।
ক্রিকেট নিয়ে এই উত্তপ্ত অবস্থায় আফ্রিদি পরামর্শ দেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) উচিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে আরও দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সক্রিয় লবিং জোরদার করা।
সাবেক এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘ক্রিকেট যেন কোনো দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার বলি না হয়। খেলাধুলা মানবিক সংযোগের সেতু হতে পারে, দ্বন্দ্বের কারণ নয়। দুই দেশের মানুষের আবেগ জড়িত এই খেলায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হবে।’ -ডেস্ক রিপোর্ট