(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) প্রথম বিয়ে করেন ডালিয়া, এরপরই কাবিনের টাকার জন্য স্বামীদের করেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এভাবেই ১২ বিয়ে করে স্বামীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন কোটি টাকা। এবার সেই স্বামীদের করা মামালায় ডালিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন নরসিংদীর জেলা আদালত।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী দায়রাজজ আদালতে প্রবাসী স্বামী এনামুলের করা যৌতুকের মামলায় জেলা জজ মারুফা আহমেদের আদালত ডালিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তিনি জামিন শুনানিতে অংশ নিলে দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ জানান, “ডালিয়া ১২ টির বেশি বিয়ে করে স্বামীদের বিরুদ্ধে মামলা ও নির্যাতন করে টাকা আদায় করতো। আদালতের নজরে আনলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, পুরুষ নির্যাতনেরও বিচার শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমন ঘটনায় মামলার বাদী এনামুল হক বলেন, “ডালিয়া তাঁর কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তাঁর প্রবাস জীবনের সকল আয় ডালিয়া হাতিয়ে নিয়েছে।”
এছাড়া ডালিয়ার আরেক স্বামী সাবেক সেনা সদস্য আমিনুল ইসলামও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “তার মিথ্যা বিয়ে বাণিজ্যের শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছি, আমার বৃদ্ধ বাবা-মার কাছে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে ডালিয়ার জন্য। এর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।”
আরেক স্বামী বরিশালে রেজাউল খান বলেন, “যৌতুকের মামালার ভয় দেখিয়ে তার মোটরসাইকেল বিআরটিতে নিয়ে গিয়ে মালিকানা পরিবর্তন করে নিয়ে গেছে ডালিয়া। জোর করে বিয়ে করে ১০ লাখ টাকা কাবিন লিখেছে, নগদ টাকাও আদায় করেছেন। তিনিও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।” -নিউজ ডেস্ক