(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি জিতে সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা পেয়েছে টাইগাররা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে লাল-সবুজের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সফরকারীদের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাল-সবুজের দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। তাতে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে রইল শান্তর দল।
সফরকারীদের দেওয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটস দাস। লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন লিটন দাস। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন তানজিদ তামিম। এরপর বৃষ্টি নামলে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকে।
এরপর বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে জাকের আলি অনিক ও তাওহিদ হৃদয় মিলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান জাকের। এরপর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়। রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। এতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ২-০তে লিড নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গুম্বি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১৫ রানে ৪ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মারুমানি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ক্রেইগ এরভাইন।
এরভাইনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন গুম্বি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই গাম্বিকে সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর উইকেটে আসেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তবে থিতু হওয়ার আগেই রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপদে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ব্রায়ান বেনেট ও জনাথন ক্যাম্পবেল মিলে বিপর্যয় সামাল দেন। ৭৩ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ২৪ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন ক্যাম্পবেল।
ক্যাম্পবেলের বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান লুক জংবি। শেষ দিকে বেনেটের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন রিশাদ ও তাসকিন। -নিউজ ডেস্ক