মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪ | ২রা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

ঘোড়াঘাটে কোটি টাকা নিয়ে কর্মকর্তা উধাও খাদ্য গুদাম সিলগালা

প্রতিবেদক
admin
মে ৭, ২০২৪ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম)  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডুগডুগি হাট খাদ্য গুদামের  কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম সরকারি ্অথর্  ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৩১ হাচার ২৭৯ ৫২ পয়সা টাকা নিয়ে খাদ্য গুদাম সিলগালা করে গা ঢাকা দিয়েছেন।  এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডল গত বুধবার (১ মে) ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে গুদামের তালা ভাঙা হয়েছে।

সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, ডুগডুগি হাট খাদ্য গুদামের  কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম আনোয়ারা বেগম (৫৯) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধিনস্ত কর্মকর্তা। দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হতে কোনো প্রকার ছুটি গ্রহণ না করে সরকারি সরকারি  ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৩১ হাচার ২৭৯ ৫২ পয়সা টাকা নিয়ে খাদ্য গুদাম সিলগালা করে গা ঢাকা দিয়েছেন।

মালামাল নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার ঠিকানায় বারবার নোটিশ করা হলেও তিনি অফিসে আসেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক ভাবে নির্দেশে বসতবাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামে গিয়েও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।

 বিষয়টি দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলে তিনি সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাশাপাশি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে গোডাউনের তালা ভেঙে ৩টি খামাল গণনা করে ২.৭৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পাওয়া যায়। অন্যান্য খামাল গুলো গণনা শেষ হলে বিপুল পরিমাণ চাল ঘাটতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইউনুস আলী মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কমিটিকে সাথে নিয়ে খাদ্য গুদামের তালা ভেঙে খামাল গণনা শুরু করেন।

গণনায় ৩ টি খামাল গণনা করে ২.৭৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পাওয়া গেছে। সব খামাল গণনা শেষে চুড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, ডুগডুগিহাট এলএসডির দুটি গোডাউনের একটির ৩টি খামাল গণনা করা হয়েছে। গণনা এখনও সমাপ্ত হয়নি। অসমাপ্ত অবস্থায় গোডাউন আবারও সিলগালা করে রাখা হয়েছে। ১১ মে শনিবার পূর্ণাঙ্গভাবে গণনার দিন ধার্য করা হয়েছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি