স্টাফ রিপোর্টার (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দিনাজপুরের বুধবার রাত আনুমানিক একটার দিকে কালবৈশাখীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দিনাজপুর শহরাঞ্চল। ভেঙে গেছে গাছপালা বৈদ্যুতিক খুঁটি। তবে হঠাৎ এর খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে দীর্ঘ তিন দিন যাবত বিদ্যুৎ নয় দিনাজপুর শহরে। মানুষের ভোগান্তি যেন শেষ নেই। দীর্ঘ ২০ বছর যাবত দিনাজপুরে এরকম কালো বৈশাখী ঝড় এর আগে দেখা যায়নি। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে প্রয়োজনীয় পানি বিশুদ্ধ পানি এবং উঠে পড়েছে দিনাজপুরবাসী। ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে আরও করেছে ঝামেলায়। বিদ্যুৎ পানি না থাকায় খাবারও রান্না করা যাচ্ছে না।গরিব মানুষ ও মধ্যবিত্তদের যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কালবৈশাখী ঝড়।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বুধবার রাত ১টা ৪৬ মিনিটে দিনাজপুরে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় বাতাসের গতি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। কালবৈশাখী এই ঝড় চলে রাত ১টা থেকে ৫১ মিনিট পর্যন্ত। ঝড়ে উপড়ে ও ভেঙে যায় হাজার হাজার গাছ। বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে এসব গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ে বাড়িঘর ভেঙে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাঁচা ও আধাপাকা বাড়িঘর। উড়ে গেছে ঘরের টিন।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সল রায়হান দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে সদর উপজেলার ১২শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে ও ভেঙে গেছে এই উপজেলার ৮ হাজার গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭০টি বিদ্যুতের খুঁটি। সদর উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুরের বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, খানসামা, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে আম, লিচুসহ বোরো ও ভুট্টা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নর্দার্ণ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী স্পন্দন বসাক দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ১১ হাজার ভোল্ট লাইনের ১২টি খুঁটি ভেঙে গেছে ও ১৪টি খুঁটি হেলে পড়েছে। এছাড়া ৪৪০ ভোল্ট লাইনের ৩৩টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। অন্যদিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার নাকি বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৫ টন চাল ও ১০ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ আজ শনিবার দিনাজপুর শহরঅঞ্চলে রাত একটার দিকে বিদ্যুৎ ফিরে আসে।