সোমবার , ৩ জুন ২০২৪ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. আইন আদালত
  3. আর্ন্তজাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও কৃষাণ
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. গল্প-সাহিত্য
  9. চাকুরি
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. টালিউড
  13. টেনিস
  14. তথ্য-প্রযুক্তি
  15. ধর্ম ও ইসলাম

নিমতলী ট্র্যাজেডির ১৪ বছর

প্রতিবেদক
admin
জুন ৩, ২০২৪ ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ

(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় দুর্ঘটনা ধরা হয় নিমতলী ট্র্যাজেডিকে। ১১৯ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সেই হৃদয়বিদারক দিনের ১৪ বছর পূর্ণ হলো আজ।

২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলিতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছিলেন দুই শতাধিক মানুষ। আগুনের লেলিহান শিখায় ছাই হয়ে যায় পুড়ে ২৩টি বসতবাড়ি, দোকানপাট ও কারখানা।

ভয়ানক সে দিনে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী দেখেছিলো নির্মম এক দৃশ্য। আপনজনকে চোখের সামনে পুড়তে দেখেছেন অনেকেই।

৩ জুন রাত সাড়ে ১০ টায় লাগা ওই আগুন জ্বলেছিলো তিন ঘণ্টারও বেশি সময়। আগুন নিয়ন্ত্রণ, নির্বাপনের পর শুরু হয় উদ্ধার কাজ। নিহতদের কঙ্কালসার নিথর দেহ, আর্তনাদ জড়িত আহতদের একে একে উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা। ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কেঁদে উঠেছিলো সারাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে ৫ জুন রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।

এ ঘটনার পর যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পায়, তাতে উঠে আসে আগুন লাগার মূল কারণ। রাসায়নিকের গুদামে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণেই সেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিদগ্ধ নিমতলি তার ক্ষত সারিয়ে উঠলেও এখনও সেখানেই রয়ে গেছে অজস্র কেমিক্যাল গোডাউন।

নিমতলী ট্রাজেডির পর টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিলো। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল রাজধানী থেকে রাসায়নিকের গুদাম-কারখানা সরিয়ে দেয়ার।  গঠন করা হয় দুইটি কমিটিও।

সেই কমিটি কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে জায়গা ঠিক করার সুপারিশ করে। একই সঙ্গে উচ্চ মাত্রার বিপজ্জনক পাঁচ শতাধিক রাসায়নিকের তালিকা করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন জমা দেয়৷

তবে গাজী গরুর মতো সব কিছুই এখনও রয়ে গেছে কেতাবে। বাস্তবায়ন হয়নি কিছুই। পঞ্জিকার পাতা উল্টাতে উল্টাতে কেটে গেছে ১৪ বছর৷ মাঝে সেই পুরাণ ঢাকারই চুড়িহাট্টায় ঘটে গেছে আরেক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ইসলামবাগে আগুনের ঘটনাও নিয়োমিত। তবে কোনোভাবেই পুরাণ ঢাকা থেকে সরানো যাচ্ছে না কেমিক্যালের গোডাউন।

জানা গেছে, রাজধানীর পুরাণ ঢাকায় রাসায়নিকের গুদাম ও দোকান রয়েছে প্রায় ২২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অনুমোদন বা লাইসেন্স আছে মাত্র ৮০০টি গুদামের। এছাড়া বসতবাড়িতে অরক্ষিতভাবে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন কেমিক্যাল। -অনলাইন ডেস্ক

সর্বশেষ - ক্যাম্পাস

আপনার জন্য নির্বাচিত