(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে এই নির্দেশনায় তিনি সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেলা ৩টার মধ্যে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণার আলটিমেটাম দেয়। এই সময়ের মধ্যেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপ-প্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনী প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল সোমবার (৫ আগস্ট) পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জানান, অনতিবিলম্বে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি। বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধ দল নির্বাচন বর্জন করায় একতরফাভাবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বেশ কিছু আসন পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগের দুই নির্বাচনসহ এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে প্রশ্ন ছিল।
তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একচ্ছত্র ক্ষমতাবলে সবকিছু স্বাভাবিক করে ফেলে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোও হয়ে পড়ে কোণঠাসা। তবে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্রদের আন্দোলনকে শুরুতে পাত্তা না দেওয়ার পরিণতি ভোগ করতে হয় আওয়ামী লীগকে। শেষ পর্যন্ত গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়। এতে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীদের এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। -অনলাইন ডেস্ক