দিলীপ কুমার রায় (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) গরু ও মহিষের হাট থেকে কোটি টাকার বেশী রাজস্ব আয় থাকার পরও জায়গার অভাবে ব্রীজের নীচে মহিষের হাট। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত উত্তর বঙ্গের সর্ববৃহৎ গরু ও মহিষের হাট। প্রতি শনিবারে কাক ডাকা ভোর হতে জেলার পাশ্ববর্তি জেলা হতে গরু ব্যবসায়ীরা তাদের গরু ও মহিষ ট্রাকে ও ভটভটীতে নিয়ে আসে কাহারোল হাটে বিক্রি করার জন্য। এই হাটে গরু, মহিষ ও ছাগল ক্রয় করার জন্য রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা আসে গরু ও মহিষ ক্রয় কারার জন্য। কিন্তু গরুর হাটে জায়গা না থাকায় গরু বিক্রেতারা হাট ছেড়ে রাস্তার মধ্যে গরু ধরে রাখেন। রাস্তা গরু ধরে রাখার কারনে রাস্তায় যানবাহন চলাচলের সমস্যা নিত্যদিনের সাথী।
আজ শনিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা রশিদ বলেন, গরুর হাটে জায়গা না থাকায় মহিষ নিয়ে পূর্নভবা ব্রীজের নীচে মহিষ ক্রয় ও বিক্রিয় করতে হচ্ছে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের। গরু হাটের বিতর পানি ও জলের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার সম্মূখিন হতে হয় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের। এমনকি হাটের পাশ্বে একটু বিশ্রামের জন্য নেই কোন সেড। ব্যবসায়ীরা বলেন, কাহারোল হাটের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও ব্যবসায়ীদের জন্য সুন্দর কোন সু-ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই হাট কর্তৃকপক্ষ। পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলা হতে আসা মহিষ বিক্রেতা বলেন, গরু হাটে জায়গা না থাকায় ব্রীজের নীচে মহিষ ক্রয় ও বিক্রয় করতে হচ্ছে। অপর ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসন আমাদের কথা চিন্তা করে গরুর হাটে কয়েকটি সেড নির্মাণ করলে ব্যবসায়ীদের ভাল হয়।
কাহারোল হাটের ইজারাদার মোঃ আতিকুর রহমান শাহ্ দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় ১ বছরের জন্য আমি ইজারা গ্রহন করেছি। মহিষ হাটের জায়গা না থাকার কারনে ব্রীজের পাশ্বে ১ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় এক জনের জমি লিজ নিয়ে মহিষের হাট বসিয়েছি।
এব্যাপারে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর সঙ্গে আমার প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, কাহারোল হাটে পানি ও জলের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সমাধান করা হবে। তিনি আরও বলেন, অচিরেই হাট সেডের ব্যবস্থ করা হবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য।