(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে চার মাস আগে শেখ হাসিনার সরকার পতন এবং দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। এরই জেরে ভারতের সীমান্তে ও ভিসাতে কড়াকড়ি আরোপ করায় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নে নেমেছে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা।
কলকাতার আরেক রুবি জেনারেল হাসপাতালেও কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা। সেখানে গত রের সপ্তাহে দুই বাংলাদেশি রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে, তবে কেউ এখনও ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। হাসপাতালের চিফ জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) শুভাশিস দত্ত বলেন, “আমরা তাদের (বাংলাদেশি রোগীদের) নির্ধারিত ভর্তির তিন দিন আগে কল করব এবং মেইল করব যে তারা ভ্রমণ করতে পারবে কিনা। তিনি জানান, গত তিন দিনে হাসপাতালের ওপিডিতে মাত্র তিনজন বাংলাদেশী রোগী এসেছে এবং কেউ ভর্তি হয়নি।
মাল্টিস্পেশালিটি নারায়না হাসপাতালগুলোতে গত আগস্ট থেকে বাংলাদেশি ওপিডি রোগী এবং ভর্তির সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়াতে হাসপাতালগুলো রোগীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দিয়ে সাহায্য করছে বলেও জানান হাসপাতালটির সিওও আর ভেঙ্কটেশ।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, আমরা বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং নারায়না হেলথের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বয় করে চিকিৎসা দিচ্ছি।’
কলকাতার ডিসান হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের অনেকেই চিকিৎসা নেয়ার জন্য যান। তবে গত মাসে এই হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের সংখ্যা প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। তবে উক্ত সময়ে অন্তত ৫০ জন রোগী হাসপাতালটিতে অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। হাসপাতালের পরিকল্পনা এবং ভিসা আমন্ত্রণ পত্র (ভিআইএল) দ্রুত ইস্যু করা সত্ত্বেও অনেক রোগীর নির্ধারিত ওপিডি অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং ভর্তি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
কলকাতার বিপি পোদ্দার হাসপাতালে ডিসেম্বরের শেষ দশ দিনের নির্ধারিত প্রায় ৫০টি অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। ক্রিসমাসের সময় বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ওই সময় বাংলাদেশি রোগীদের অনেকেই যেমন- হাঁটু প্রতিস্থাপন এবং মেরুদণ্ডের মাইক্রোস্কোপিক অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করেন। তবে এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
বিপি পোদ্দার গ্রুপের উপদেষ্টা সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বছরও আমাদের ২০ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৫০টি ‘কোল্ড সার্জারি’ সূচি নির্ধারিত ছিল। তবে মনে হচ্ছে সবই পরবর্তী তারিখের জন্য স্থগিত করতে হবে।’
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের রাজধানীর আরও কয়েকটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত আগস্টে বাংলাদেশি রোগীদের স্বাভাবিক প্রবাহ কমে যায় এবং পূজার পর তা বাড়তে শুরু করে। কিন্তু এখনকার মতো পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি বলে জানায় তারা। -নিউজ ডেস্ক