মোঃ নজরুল ইসলাম (দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও যে কোন ধরণের অপরাধ সংঘটন ঠেকাতে ্িরামপুর থানা পুলিশ বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে। মার্কেট, বিপনী বিতান, হাট বাজার, সড়ক, মহা-সড়কে থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সরব টহলে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দিনাজপুরের অন্যতম বৃহত বাণিজ্যিক শহর বিরামপুর। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারণে পার্শ্ববতী নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও ফুলবাড়ি উপজেলার লোকজন বিরামপুর শহর থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট-বিপনী বিতানে চলছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিপুল সংখ্যক ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে এবং চুরি ছিনতাইসহ যে কোন ধরণের অপরাধ সংঘটন ঠেকাতে থানা পুলিশ বিশেষ টহল তৎপরতা শুরু করেছে। পাশাপাশি সেনা সদস্যদের বিশেষ টহল ও শহরের বাইরে বাজারগুলোতে জননিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি টহল দিচ্ছে গ্রাম পুলিশ। এছাড়া বিরামপুরের সড়ক মহা-সড়কে ডাকাতি ছিনতাই ঠেকাতে রাতের টহল জোরদার করেছে। বিরামপুর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, দিনের বেলা পুলিশের বিশেষ টহল ও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের সরব উপস্থিতির কারণে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা স্বাচ্ছ›েন্দ কেনাকাটা করতে পারছেন।
মোটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন বিরামপুর ষ্ট্যান্ড- কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিরামপুরের সড়ক, মহাসড়কে পুলিশের জোরদার টহলে আমরা শ্রমিক-যাত্রী সকলেই নিরাপদে রয়েছি।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদে জনসাধারণের কেনাকাটা ও চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সেনা টহলের পাশাপাশি থানা পুলিশ বিশেষ টহল জোরদার করেছে। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারের নিরাপত্তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শ ও গ্রাম পুলিশদের প্রহরা জোরদার করা হয়েছে। শহরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে এবং পুলিশের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের নিজস্ব প্রহরায় নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। সড়ক মহাসড়কের প্রহরাতেও নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। এছাড়া পিকআপ গাড়িতে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে নাচগান ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটর সাইকেল চালনা বন্ধ করতে ঈদের দিন ও পরের দু’দিন সড়কে তল্লাশী চৌকি বসানো হবে।