(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) পেট ফাঁপা এবং শরীরে অস্বস্তি নিয়ে ঘুম থেকে ওঠার কথা ভাবুন। শুনতে অস্বস্তিকর লাগছে, তাই না? এই কারণেই বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আপনার দিনটি হালকা এবং প্রাণবন্ত রাখার জন্য সঠিক শুরু করার পরামর্শ দেন। একটি সুস্থ সকালের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হলো অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকা। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে পান্তা ভাত। সকালের খাবারে পান্তা ভাত খেলে তা সারাদিন আপনাকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে অনেকটাই ভূমিকা রাখবে। রোজায় ইফতার বা সাহরিতেও রাখতে পারেন পান্তা ভাত।
পান্তা ভাত কী?
পান্তা ভাত সম্পর্কে আসলে কোনো বাঙালিকেই আলাদা করে বোঝাতে হবে না। কারণ এর সঙ্গে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত। সাধারণত রাতের বেঁচে যাওয়া ভাতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া হয়। তাকেই পান্তা ভাত বলি। গাঁজন পানিতে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা এটিকে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর একটি পুষ্টিকর খাবারে পরিণত করে। পুষ্টিবিদরা বেশি উপকারিতার জন্য মাটির পাত্রে ভাত ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটির পাত্রে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে গাঁজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি শীতলকরণের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখতে এবং পানির pH স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এর ফলে পান্তা ভাত আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, মাটি পান্তা ভাতের পানিতে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ যোগ করতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
পান্তা ভাতে স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. অন্ত্রের প্রদাহ কমায়
পান্তা ভাত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর যা আপনার পেট ঠান্ডা করে, প্রদাহ কমায়, ফোলাভাব এবং অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে।
২. হজমে সহায়তা করে
পান্তা ভাত খেলে তা আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা আরও ভালো পুষ্টি শোষণ, হজম এবং বিপাক উন্নত করে।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অন্ত্রের সুস্থতা সরাসরি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত। পান্তা ভাত খেলে তা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির করে। এর ফলে আমাদের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা সহজ হয়। -নিউজ ডেস্ক