(দিনাজপুর টোয়েন্টিফোর ডটকম) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে দেওয়া ১০ দফা নির্দেশনা মানা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অভিযানের প্রথম দিনে লাইসেন্স না থাকা, নবায়ন না করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট ৬টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছন।
তিনি জানান, আমরা মোট দুইটি দলে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। এসময় মোট ১২টা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে শোকজ করা হবে। বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুইটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নবায়ন করা হয়নি। বাকিগুলোর লাইসেন্স ছিল না অথবা লাইসেন্স আছে কিন্তু কার্যক্রম সন্তোষজনক না।
বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের টিজি হাসপাতাল, রেডিয়াম ও রাজধানী ব্লাড ব্যাংক, ইসিবি চত্বরে অবস্থিত আল হাকিমী চক্ষু হাসপাতাল (প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন ছিল না), কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামীকাল শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের এই সহকারী পরিচালক।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এসব নির্দেশনা অবিশ্যকভাবে পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।
একইদিনে বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার দেওয়া ১০ নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। অন্যথায় নিবন্ধন বাতিলসহ কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানান তিনি। -নিউজ ডেস্ক